• Breaking News

    Thursday, February 9, 2017

    আদার রস এর উপকারিতা

    আদার রস পান  করে শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলুন-Bangla Health Tips




    ডায়েটের পাশাপাশি পেটের মেদ কমানোর জন্য আদার ডিটক্স পান করতে পারেন। ডিটক্স আপনার পেটের মেদ কাটাতে সাহায্য করবে। আদার এই ডিটক্স শুধু পেটের নয়, এটি ঊরুর মেদও কমাতে সাহায্য করে থাকে।

    উপকরণ

    • ১. আদার কয়েকটি টুকরো
    • ২. ১-১.৫ লিটার পানি

    প্রণালি

    • ১. চুলায় ১-১.৫ লিটার পানি দিন
    • ২. এর পর এতে আদা টুকরো দিয়ে দিন
    • ৩. পানি ফুটে এলে নিম্ন আঁচে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন
    • ৪. ঘন হয়ে এলে এটি ছেঁকে আদা ও পানি আলাদা করে নিন
    • ৫. ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন।

    যেভাবে পান করবেন

    আদাপানি প্রতিদিন পান করুন দিনে কমপক্ষে এক লিটার পানি পান করুন। প্রতিদিনকার আদাপানি প্রতিদিন তৈরি করে নিন। এটি আপনার ওজন হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেবে। আদা শরীরের আর কী উপকারে আসে, তা দেওয়া হলো নিচে :

    কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

    আদা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওবেসিটি বা স্থূলতার কারণে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো প্রতিরোধ করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

    ক্যানসার প্রতিরোধ করতে

    আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস। British Journal of Nutrition-এর মতে, আদার প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিইনফ্লামেশন সমৃদ্ধ উপাদান

    আদার পানি দেহের ইনফ্লামেশন কমিয়ে দিয়ে জয়েন্টের ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। ‘Journal of Medicinal Food’ প্রকাশিত আর্টিকেল থেকে জানা যায়, আদা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানসমৃদ্ধ একটি মসলা, যা বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে থাকে।
    প্রতিদিন পান করুন আদাপানি। দেহের মেদ কমানোর পাশাপাশি এটি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তবে সবার জন্যই আদাপানি যে উপকার বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। এটি নির্ভর করে শরীরের অবস্থার ওপর। শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে আদা অনেকের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই এই পানীয় পানের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
    শরীরের নানা রোগ উপশমে আদার উপকারিতা অপরিসীম। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও আর্থারাইটি, মাইগ্রেন, কাশি, ডায়ারিয়া, গ্যাস, কনস্টিপেশন, হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিস, হাই-কোলেস্টেরলের মতো বিবিধ রোগ প্রতিরোধে আদার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতেও বাদ সাধে মাটির নিচের এই ফসল।
    রোগ প্রতিরোধে আদার উপকারিতার কথা মাথায় রেখে, বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও আদা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে আদার গুণ জানার পরই যদি কেউ মুড়ি-মুড়কির মতো আদা খেতে শুরু করেন, তাহলেও সমূহ বিপদ।
    কারণ, আদা যেমন অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পরম বন্ধু, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা শরীরের চরম শত্রুও বটে। তাই আদার গুণাগুণ জানার পাশাপাশি, এটা জানাটাও অত্যন্ত জরুরি যে কারা আদার ধার-পাশ দিয়েও যাবেন না, কারা আদা এড়িয়ে চলবেন।

    যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা

    আদা শরীরে কড়া উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। সে জন্য অন্তঃসত্ত্বারা আদা খেলে, প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ জন্য গর্ভবতী নারীদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত প্রেগন্যান্সির শেষ সপ্তাহগুলোতে তো আদা একেবারেই খাবেন না।

    যাঁরা ওজন বাড়াতে চান

    যাঁরা রোগা হতে চান, তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী হলেও যাঁরা শীর্ণকায়, ওজন বাড়াতে আগ্রহী তাঁদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আদা খিদে কমায়। এ ছাড়া শরীরের চর্বি গলানোর প্রক্রিয়ায় আদা বিশেষ সহায়ক। সে জন্য যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, আদা তাঁদের কোনো কাজে আসবে না।

    ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ওষুধ খান

    আদা ডায়াবেটিসের লেভেল কমাতে কার্যকর হলেও যাঁরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদের ডায়েট চার্ট থেকে চিরতরে ডিলিট করে দিতে হবে আদাকে। একই কথা প্রযোজ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদেরও অবশ্যই আদাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

    No comments:

    Post a Comment