• Breaking News

    Friday, February 10, 2017

    হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে ২০ বছর বয়স থেকেই করুন এই কাজগুলো

    হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে ২০ বছর বয়স থেকেই করুন এই কাজগুলো-Bangla Health Tips


    হৃৎপিণ্ডের রোগে আক্রান্ত হতে হতে হয়তো ৪০-৫০ বছর বয়স হয়ে যায় বেশীরভাগ মানুষের, কিন্তু তারমানে এই নয় যে রোগী হয়ে যাবার পরই কেবল স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। বয়স বিশের কোঠায় থাকতে থাকতেই যদি আপনি হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেওয়া শুরু করেন তবে ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা যেতে পারে অনেকগুণ। আসুন দেখে নেই এমন কিছু অভ্যাস, যা বছরের পর বছর ধরে ভালো রাখবে হৃৎপিণ্ড।

    ১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন বয়স ২০ হলেই। সাধারণত স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মানুষের টনক নড়ে বয়স ৩০ পেরোলে। কিন্তু ওজন বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আগেই সাবধান হওয়া ভালো। ওজন অতিরিক্ত বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
    ২) কেক, চকলেট, চর্বিওয়ালা মাংস, পনির, ক্রিম এবং এই ধরণের জেওসব খাবার খেতে খুব ভালো অথচ অস্বাস্থ্যকর, এগুলো বাদ দিন এখন থেকেই। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়াতে দায়ী এসব খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীর থাকবে অনেক সুস্থ।
    ৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুডে থাকে অনেক বেশি লবণ। এটা হার্টের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ জন্য বাইরে খাওয়া কমিয়ে দিন এবং রান্নার সময়ে মেপে মেপে লবণ ব্যবহার করুন।
    ৪) কম বয়সে অ্যালকোহল পানের ইচ্ছে থাকে বই কি। কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি এটা আপনার ওজন বাড়াতে পারে। কিডনির ওপরেও ফেলতে পারে খারাপ প্রভাব।
    ৫) হৃৎপিণ্ডকে নিরাপদে রাখবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ।
    ৬) প্রচুর আঁশযুক্ত খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরল কম রাখে। এছাড়াও এগুলো স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। হোল হুইট ব্রেড, ওট, চামড়া সহ কিছু ফল ও সবজি  বেশি করে খেতে হবে বয়স বিশের কোঠায় থাকতে থাকতেই।
    ৭) হৃৎস্পন্দন বাড়ে এমন সব ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো এবং সাঁতার- এগুলোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এই সময়ে। এসব অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরটাও সুস্থ থাকবে, ত্বকও থাকবে ঝলমলে।
    ৮) ধূমপানের অভ্যাস বর্জন করুন এখনই। গবেষণায় দেখা যায়, ধূমপান বাদ দেওয়ার মাত্র ১২ মাসের মাঝেই হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসে অর্ধেকে।
    ৯) সক্রিয় যৌন জীবন রক্তচাপ কমিয়ে স্থিতিশীল রাখে। এতে কমে আসে হৃদরোগের ঝুঁকি।
    ১০) জীবনকে উপভোগ করুন। হাসিখুশি থাকুন। কর্মজীবনে নিজেকে ঢেলে দিতে গিয়ে নিজেকে শেষ করে ফেলবেন না। নিজে যেসব কাজ উপভোগ করেন, সেগুলোতে সময় কাটালে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে অনেকটা সময়।

    No comments:

    Post a Comment