কিভাবে অ্যাজমা পুরোপুরি দূর হবে-Bangla Health Tips

সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এমন কিছু ওষুধ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অ্যাজমা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হবে। হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিসে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু ওষুধ দিয়ে অ্যাজমার চিকিৎসা করা সম্ভব।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স ট্রান্সলেশন মেডিক্যাল জার্নালে। কিংস কলেজ লন্ডন এবং মায়ো ক্লিনিকের একদল গবেষক মিলিতভাবে গবেষণাটি করেন। গবেষকরা অ্যাজমার জন্য দায়ী ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপটর (CaSR)-এর ভূমিকার কথা বর্ণনা করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপটর এক ধরনের প্রোটিন, যা অ্যাজমা হওয়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাজমায় আক্রান্ত এবং আক্রান্ত নন এমন মানুষের ওপর চালানো হয় এই গবেষণা। গবেষণাপত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় ক্যালসিলাইটিস-জাতীয় ওষুধের ওপর, যা এই সিএএসআর (CaSR)-এর লক্ষণগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়।
স্কুল অব বায়োসায়েন্স থেকে আসা প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডেনিয়েলা রিকার্ডি বলেন, ‘আমাদের আবিষ্কার অবিশ্বাস্যভাবে উত্তেজনাপূর্ণ। আমরা দেখলাম, শ্বাসপথের প্রদাহ পরিবেশগত কারণে হয়। যেমন : ধূমপান, গাড়ির ধোঁয়া এবং অ্যালার্জিজনিত কারণেও অ্যাজমা হয়।’
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অ্যাজমা তৈরিকারী জিনিসগুলো শ্বাসনালির টিস্যুতে গিয়ে সিএএসআরকে কার্যকর করে তোলে। এর ফলে অ্যাজমার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। যেমন, প্রদাহ এবং শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়া। ক্যালসিলাইটিস যদি সরাসরি ফুসফুসে ব্যবহার করা যায় তবে এটি অ্যাজমার লক্ষণ বহুলাংশে হ্রাস করে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি অ্যাট অ্যাজমা, ইউকের পরিচালক ড. সামান্তা ওয়াকার বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি উত্তেজনাপূর্ণ আবিষ্কার। এই প্রথমবারের মতো অ্যাজমার লক্ষণগুলো রোধ করা যাবে।
এই ফলাফল অনেক লোকের জীবন বদলে দেবে। যদি এই গবেষণার ফল সফলভাবে পাওয়া যায়, আমরা কয়েক বছরের মধ্যে অ্যাজমার ভালো চিকিৎসা করতে পারব। তবে এর জন্য আমাদের আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে।’
গবেষকদের মতে, যদি এই গবেষণা সফল হয় তবে সিওপিডির মতো ফুসফুসের আরো অনেক কঠিন রোগও ভালো করা সম্ভব। এমনকি ২০২০ সালের মধ্যে অ্যাজমার মতো বড় রোগকে প্রতিহত করা যাবে।
সৌজন্যে – NTV
No comments:
Post a Comment