বসে থাকলেই দ্রুত মৃত্যু
আপনি কি নিয়মিত খুব আরাম করে বসে থেকে সময় কাটান? তাহলে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। যত বেশি সময় বসে কাটাবেন, তত দ্রুত আপনার মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে। ইংল্যান্ডের লেইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক মেডিকেল গবেষণায় এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মত রোগগুলোর দিকে মানুষকে ঠেলে দেয়।
আগে প্রাণঘাতী হিসেবে সিগারেট এবং বিভিন্ন মাদক দ্রব্যকেই বিবেচনা করা হতো। বর্তমানে চেয়ারে বসে থাকা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর কেরানী, হিসাবরক্ষক এবং ব্যবস্থাপকেরা দাঁড়িয়ে থেকেই কাজ করতো। এমনকি আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, উইন্সটন চার্চিলের মত বিখ্যাত মানুষেরাও দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। তারা বিশ্বাস করতেন এতে তাদের মনযোগ বাড়বে।
কিন্তু এখন অধিকাংশ মানুষই দিনের একটা বড় সময় বসে কাটায়। কর্মস্থলে, বাসার খাবার টেবিলে, টিভির সামনে বসে থেকেই সময় কাটে মানুষের। এভাবে দিনে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় বসে কাটায় মানুষ।
লেইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয় বসে থাকার সময়টাতে রক্তে শর্করা ও চর্বি অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এর আগে গত মাসে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০ হাজার মধ্যবয়সী পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় দৈনিক চার ঘণ্টার বেশি বসে থাকা মানুষদের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা অনেক বেশি।
গবেষণায় বলা হয়, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মত রোগগুলোর দিকে মানুষকে ঠেলে দেয়।
আগে প্রাণঘাতী হিসেবে সিগারেট এবং বিভিন্ন মাদক দ্রব্যকেই বিবেচনা করা হতো। বর্তমানে চেয়ারে বসে থাকা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর কেরানী, হিসাবরক্ষক এবং ব্যবস্থাপকেরা দাঁড়িয়ে থেকেই কাজ করতো। এমনকি আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, উইন্সটন চার্চিলের মত বিখ্যাত মানুষেরাও দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। তারা বিশ্বাস করতেন এতে তাদের মনযোগ বাড়বে।
কিন্তু এখন অধিকাংশ মানুষই দিনের একটা বড় সময় বসে কাটায়। কর্মস্থলে, বাসার খাবার টেবিলে, টিভির সামনে বসে থেকেই সময় কাটে মানুষের। এভাবে দিনে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় বসে কাটায় মানুষ।
লেইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয় বসে থাকার সময়টাতে রক্তে শর্করা ও চর্বি অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এর আগে গত মাসে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০ হাজার মধ্যবয়সী পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় দৈনিক চার ঘণ্টার বেশি বসে থাকা মানুষদের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা অনেক বেশি।
কিন্তু বসে থাকা কেন এতো ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে? আমাদের শরীর মূলত ইতঃস্ততভাবে পায়চারি করা এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। যখন আমরা দাঁড়িয়ে থাকি তখন আমাদের শরীরের পেশীগুলো সক্রিয় থাকে। আমাদের শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে পেশীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, পেশীর সংকোচন শর্করাকে শক্তিতে পরিণত হতে সাহায্য করে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমাদের যে পেশীগুলো সক্রিয় থাকে সেগুলোও চর্বি ধ্বংসকারী এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ‘সিটেড ইমমবিলিটি সিনড্রোম’ এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা প্রকাশিত হয়। ২৪ বছর বয়সী এক লোক টানা ৮০ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থেকে ইন্টারনেটে গেম খেলায় তার পায়ের রক্ত কণিকা জমাট বেঁধে যায়। জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে জরুরি অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তাহলে বসে থাকার কার্যকরী বিকল্প কি হতে পারে?
এ বিষয়ে ইতিপূর্বে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো যে সমাধান পাওয়া গেছে তা হলো প্রতি ২০ মিনিট পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠে কিছু সময়ের জন্য হেঁটে আসা।
অস্ট্রেলিয়ার এক হৃদরোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গত বছর এক সমীক্ষায় দেখতে পায় যারা এ রুটিন অনুসরণ করেছে তাদের রক্তচাপে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। এ ধরনের পরিবর্তন সাধারণত কয়েক মাস হৃদরোগ-বান্ধব ব্যায়াম করার পর অর্জন করা সম্ভব।
লেইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, পেশীর সংকোচন শর্করাকে শক্তিতে পরিণত হতে সাহায্য করে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমাদের যে পেশীগুলো সক্রিয় থাকে সেগুলোও চর্বি ধ্বংসকারী এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ‘সিটেড ইমমবিলিটি সিনড্রোম’ এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা প্রকাশিত হয়। ২৪ বছর বয়সী এক লোক টানা ৮০ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থেকে ইন্টারনেটে গেম খেলায় তার পায়ের রক্ত কণিকা জমাট বেঁধে যায়। জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে জরুরি অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তাহলে বসে থাকার কার্যকরী বিকল্প কি হতে পারে?
এ বিষয়ে ইতিপূর্বে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো যে সমাধান পাওয়া গেছে তা হলো প্রতি ২০ মিনিট পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠে কিছু সময়ের জন্য হেঁটে আসা।
অস্ট্রেলিয়ার এক হৃদরোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গত বছর এক সমীক্ষায় দেখতে পায় যারা এ রুটিন অনুসরণ করেছে তাদের রক্তচাপে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। এ ধরনের পরিবর্তন সাধারণত কয়েক মাস হৃদরোগ-বান্ধব ব্যায়াম করার পর অর্জন করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment