• Breaking News

    Tuesday, February 14, 2017

    জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি

    জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি



    যাদের ফ্যামিলি কমপ্লিট এবং যারা আর সন্তান নিতে চান না কেবল তারাই স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।
    মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণ
    এটাকে লাইগেন বলা হয়। এ ক্ষেত্রে খুবই ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের টিউব বন্ধ করে দেয়া হয়। জরায়ু নালি বন্ধ করায় শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। ফলে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
    এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হরমোনাল পদ্ধতির মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ডিভোর্স, সন্তানের মৃত্যু ইত্যাদি নানা কারণে অনেকে আবার গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে আবার জরায়ুর নালিপথ সচল করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
    ইমপ্ল্যান্ট­মহিলাঃ
    বন্ধ্যত্বকরণের নতুন পদ্ধতিঃ
    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ছোট একটা মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিতে স্থাপন করা হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ক্যাথেটারের সাহায্যে এ ইমপ্ল্যান্ট যোনিপথ দিয়ে উভয় জরায়ু নালিতে বসিয়ে দেন। ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিকে ব্লক করে। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে এ ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের তিন মাস পর্যন্ত অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হয়। তিন মাস পর বিশেষ পদ্ধতিতে এক্স-রে করে দেখা হয়, ইমপ্ল্যান্ট সঠিক স্থানে এবং কার্যকর অবস্থানে আছে কি না।
    পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণঃ
    পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণ বা ভ্যাসেকটমি খুবই সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে শুক্রনালি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রাশয়ের এক পাশে ছোট একটি জায়গা অবশ করে শুক্রনালি পথ কেটে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। অপারেশনের পরপর আপনি বাড়ি চলে যেতে পারবেন। অপারেশনের পর ঝুঁকিমুক্ত হতে কমপক্ষে ২০ বার বীর্যপাত হওয়া প্রয়োজন।
    এ পদ্ধতি শতভাগ কার্যকর। খুব দ্রুত ও ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে এটা সম্পন্ন করা হয়। তবে অপারেশনের পর কেউ কেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিতে পারে। তাই ভ্যাসেকটমি করার আগে পূর্ণ সম্মতি নেয়া

    No comments:

    Post a Comment